ধাপ
১
C হচ্ছে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। এই C এর বিশেষ কোনো অর্থ নেই। B নামের একটি প্রোগ্রামিং ভাষাকে উন্নত করে তার নাম দেয়া হয় C। এটি এরকম যে windows 7 এর পর windows 8। যদিও পরবর্তী উইন্ডোজের নাম হচ্ছে windows 10!
C এর উপর ভিত্তি করেই C++ এবং Java প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করা হয়েছে।
১৯৭০ সালের দিকে ডেনিস রিচি (Dennis Ritchie) বেল ল্যাবরেটরিতে (বর্তমানে এটি AT & T এর একটি অংশ) C ভাষাটি তৈরি করেন।
১৯৮৯ সালে ANSI, C ভাষার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন করে, যাকে ANSI C বলা হয়। যদিও ১৯৮৯ সালের পর ১৯৯০ এবং ১৯৯৫ সালে আরো দুটো আপডেট তৈরি করা হয়। এগুলোকে আলাদা করে চিহ্নিত করার জন্য C89, C90 এবং C95 বলা হয়। ANSI C বলতে যদিও সব গুলোকেই বুঝায় :) প্রায় সব কম্পাইলারেই ANSI C এর স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলা হয়।
বিস্তারিত ইতিহাস জানতে নিচের লিঙ্ক গুলো ঘাটতে পারেনঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/C_%28programming_language%29
http://en.wikipedia.org/wiki/ANSI_C
কম্পিউটার একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বিদ্যুতের মাধ্যমে কাজ করে। বিদ্যুতের দুটি অবস্থা হতে পারে। বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু (যাকে ১ দ্বারা প্রকাশ করা যায়) এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ (যাকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা যায়)। কম্পিউটার এ বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু এবং বন্ধের মাধ্যমেই অর্থাৎ ০ এবং ১ এর মাধ্যমেই কাজ করে। তো কম্পিউটারকে কিছু বুঝাতে হলে এ ০ এব ১ দিয়েই বুঝাতে হয়। এখন আমরা যে সি ভাষা শিখছি তা কিন্তু High Lavel Language এর অন্তর্গত অর্থাৎ এটি অনেকটা মানুষের ভাষার কাছাকাছি। এ ভাষা কম্পিউটার সরাসরি বুঝবেনা, কম্পিউটাকে বুঝাতে একটি অনুবাদক (translator) লাগবে, যা আমাদের লেখা সি ভাষাকে ০ এবং ১ এ পরিবর্তন (convert) করবে। এ অনুবাদককেই বলা হয় কম্পাইলার (compiler)।
যেহেতু কম্পিউটার শুধু ০ এবং ১ ই বুঝে, তাই একে মেশিন ভাষা (Machine Language) বলে। প্রথমদিকে কম্পিউটারে মেশিন ভাষা দিয়েই প্রোগ্রামিং করা হত।
সি ভাষার জন্য কম্পাইলার ব্যবহার করা হয়।
সি এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্যই সি দিয়ে প্রোগ্রামিং শেষা শুরু করা হয়। সি এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো হলঃ
ইত্যাদি।
টেকনিক্যাল বৈশিষ্ট্য গুলো হলঃ
ইত্যাদি।
টেকনিক্যাল বৈশিষ্ট গুলো নিয়ে প্রয়োজন হলে আলোচনা করা হবে।
প্রোগ্রাম শেখা শুরু করার জন্য সারা বিশ্বে সি অথবা পাইথন, যে কোনো একটি ভাষা ব্যবহার করা হয়। পাইথন ভাষা সি থেকেও সহজ। তবে আমার মতে সি দিয়েই শুরু করা ভাল। কারণ, প্রত্যেকটি প্রোগ্রামিং ভাষার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। সি শিখলে সে বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভালো ধারনা পাওয়া যায়। ফলে অন্য ভাষা শিখতে কষ্ট কম হয়। আর সি প্রথম দিকের ভাষা হওয়ায় এটির বৈশিষ্ট্য প্রায় সব ভাষাতেই পাওয়া যায়।
আপনি যদি মাউস দিয়ে নতুন ফোল্ডার তৈরি, প্রোগ্রাম ইনস্টল করা এবং কি-বোর্ড দিয়ে নিজের নাম লিখতে পারেন তাহলেই হবে। এর চেয়ে বেশী যোগ্যতা দরকার নেই :)
তবে মনে রাখতে হবেঃ
প্রোগ্রামিং ভাষার syntax ১ ঘন্টায় শিখা যায়, তা দিয়ে প্রোগ্রামও লিখা যায়, কিন্তু প্রোগ্রামার হওয়া যায় না..!
যাইহোক, সি শেখার প্রয়োজনে যা যা লাগবে তা প্রয়োজন মতো নির্দেশিকায় জানানো হবে। আর শিখার পর অনুশীলনের মাধ্যমেই প্রোগ্রামার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে..
প্রোগ্রাম লিখার জন্য লাগে একটা এডিটর, যাতে প্রোগ্রামটা লিখা হবে। তারপর লাগে অনুবাদক, সি এর জন্য লাগবে কম্পাইলার অনুবাদক।
সি লিখার জন্য যে কোনো এডিটর ব্যবহার করা যায়, হতে পারে তা নোটপ্যাড। নোটপ্যাডে লিখে তা কোনো কম্পাইলার সফটওয়্যার দ্বারা কম্পাইল করলেই হয়।
আবার কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলোতে এডিটর এবং কম্পাইলার একসাথে দেয়া থাকে এবং প্রোগ্রামিংয়ের সুবিধার জন্য অনেক যন্ত্রপাতিও দেয়া থাকে, এসব সফটওয়্যারকে বলা হয় IDE। আমরা CodeBlocks IDE ব্যবহার করব। সাথে Turbo C++ 3.0 ব্যবহার করব।
Turbo C++ অনেক পুরনো। কাজ করতে হয় অন্ধকার পরিবেশে! কিন্তু কাজ করতে মজা। আপনার মজা না লাগলে কোডব্লকস ব্যবহার করতে পারেন। দুটোর ব্যবহার একই। কিছু টেকনিক্যাল পার্থক আছে। যা আমাদের কাজে সমস্যা করবে না :) তবে কিছু ক্ষেত্রে হয়ত নির্দেশিকার প্রয়োজনে Turbo C++ চালু করতে হতে পারে।
Code::Blocks এর নির্দেশিকা এখান থেকে দেখে আসুন।
ডাউনলোড (Windows Xp-র জন্য)
ডাউনলোড (Windows 7 এবং তার পরের উইন্ডোজের জন্য)
Windows Xp এ C:\TC তে Turbo C++ ইনস্টল করুন। এরপর C:\TC\BIN ফোল্ডারের গিয়ে TC তে ডাবলক্লিক করে Turbo C++ চালু করতে পারে।
আর Windows 7 বা তার উপরে উইন্ডোজের সংস্করণটি ইনস্টল করার পর ডেস্কটপে সর্টকাট চলে আসবে। এতে ক্লিক করেও টার্বো সি-প্লাস-প্লাস চালু করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নিয়ে প্রস্তুতি শেষ হলে চলুন এবার প্রোগ্রামিং শুরু করা যাক!